হিন্দু


If You Have Problem With Bangla Download This Software

হিন্দু / Hindu

You Will Success If you Use Brain.exe -You Will Fail If You Use Cheat or Trainer

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম

এইখানের বিষয় বস্তু কাউকে হেয় বা ছোট করা না -আমরা সবাইকে শ্রদ্ধা করি।

প্রচলিত বিশ্বাস –

হিন্দু ধর্মকে সাধারন ভাবে বহু দেবতার ধর্ম হিসাবে গন্য করা হয়,প্রকৃতপক্ষে হিন্দুরা একাধিক সৃস্টিকর্তাই বিশ্বাসী।কিছু হিন্দু ৩ দেবতায়,কিছু হিন্দু ৩০ দেবতায়,কিছু হিন্দু ১০০ দেবতায়,কিছু হিন্দু ৩৬ কোটি দেবতায় বিশ্বাসী।

পার্থক্য –

হিন্দুরা বিশ্বাস করে বৃক্ষ ,সূর্য ,পশু -পাখি,প্রানি – মানুষ  এসব কিছু দেবতা বা ঈশ্বর বা স্রস্টা আর মুসলমানরা বিশ্বাস করে এই সব কিছু স্রস্টার। হিন্দু ও মুসলমানদের মধ্য পার্থক্য শুধু ” র ” এর।

বইসুমহ –

ভগবত গীতা , উপনিষদ , বেদ – বেদ র্অথ ” জ্ঞান “বেদকে শ্রুতি বলা হয়।প্রধান বেদ -যজুর্বেদ ,অথর্ববেদ , ঋগবেদ , সামবেদ ,আয়ুবেদ ।উপবেদ – আয়ুবেদ , ধনুবেদ , গান্ধববেদ , স্হাপত্যবেদ । প্রতিবেদ -কর্মকাণ্ড সংহিতা , ব্রাক্ষন , জ্ঞানকাণ্ড , আরণ্যক,উপনিষদ। আরও অনেক বই।

হিন্দু ধর্মগ্রন্হগুলো ২ ভাগে বিভক্ত যেমন – শ্রুতি আর স্মৃতি ।

শ্রুতি – যেটা সবাই বুঝতে পেড়েছে,যেটা মানুষ শুনেছে।এই শ্রুতি বিভিন্ন হিন্দু বিশেষজ্ঞদের মতে প্রচলিত আছে ,  শ্রুতি হল ঈশ্বরের বানী।এটা আবার ২ ভাগে বিভক্ত -বেদ ও উপনিষদ ।বেদ – বেদ এসেছে বিদ থেকে যার অর্থ মানুষের জ্ঞান।উপনিষদ – জ্ঞান বা যাবতীয় অজ্ঞতা দূর করে দেয়।

স্মৃতি – মনে রাখা বা স্বরন রাখা ।হিন্দু বিশেষজ্ঞদের মতে স্মৃতি গ্রন্হ গুলো মানুষ লিখেছে মানে ঋষিরা লিখেছে ।স্মৃতির মধ্য একটা গুরুত্বপুর্ন পুরান হচ্ছে ভবিষৎ পুরান।পুরান মানে প্রাচিন।এ পুরান ভবিষৎ নিয়ে কথা বলছে।

আল্লাহর কিছু বানী

সুরা নিসা – (৪)৭৯ নং আয়াত – আল্লাহ বলছেন – আমি তোমাকে [মোহাম্মাদ (সা:)] সমগ্র মানব জাতির জন্য রাসুল বানিয়ে পাঠিয়েছি।

সুরা ইমরা্ন (৩) ৮৫ নং আয়াত – আল্লাহ বলছেন – ইসলাম ছাড়া অন্য কোন জীবন বিধান কবুল হবে না ।

সুরা আন নাহল – (১৬) ৩৬ নং আয়াত – আল্লাহ বলছেন – আমি প্রত্যক জাতির কাছে নবী ও রাসুল পাঠিয়েছি।

সুরা নিসা – ১৬৪ – নং আয়াত – আল্লাহ বলছেন – আমি আগে তোমাকে (নবী সাঃ )বলেছি কিছু নবীদের কথা ,কিছু রাসুলদের কথা বাকিদের কথা বলিনি।

English version থেকে নেওয়া

http://www.bhagavad-gita.org/Gita/intro.html

  • ভগবত গীতা – অধ্যায় ৭ – স্তব ২০ –যাদের বোধশক্তি পার্থিব আকাঙক্ষার মাধ্যমে বিলুপ্ত হয়ে গেছে,শুধুমাএ তারাই উপদেবতার নিকটে উপাসনা করে।

  • ভগবত গীতা – অধ্যায় ১০ – স্তব ৩ –তারা হচ্ছে বস্তুবাদি লোক ,তারা উপদেবতার উপাসনা করে ,তাই তারা সত্যিকার স্রস্টার উপসনা করে না।

  • উপনিষদ – ছান্দোগ্য উপনিষদ – অধ্যায় ৬ – সেকসন ২ – ভলিউম ১ – একাম এবাদ্বিতীয়ম ” স্রস্টা একজনই ,তার কোন শরীক নেই।

  • শ্বেতাস্বতরা উপনিষদ – অধ্যায় ৬ – অনুচ্ছেদ ৯ – ২য় খন্ড  – পৃস্ঠা ২৬৩  – না কছ্য কছুজ জানিত না কধিপহ – তার কোন পিতা মাতা নেই,এমনকি প্রভু নেই।

  • শ্বেতাস্বতরা উপনিষদ – অধ্যায় ৬ – অনুচ্ছেদ ১ ৯ – না তছ্য প্রতিমা অস্তি – স্রস্টার কোন প্রতিমা নেই

  • যজুর্বেদ – অধ্যায় ৩২ – অনুচ্ছেদ ৩ – ন তস্য প্রতিমা আস্তি -স্রস্টার কোন প্রতিমা নেই

  • যজুর্বেদ ,দেবী চাদ  এম এ পৃস্ঠা ৩৭৭ – যেহেতু তিনি চিরন্জীব,তাই তাকেই উপাসনা করতে হবে

  • যজুর্বেদ – অধ্যায় ৪০- অনুচ্ছেদ ৯ – অন্ধতম প্রভিশান্তি ইয়ে অশম্ভুতি মুপাস্তে – যারা অশম্ভুতির পুজা করে তারা অন্ধকারে নিমজ্জিত হয়।তারা অধিকতর অন্ধকারে পতিত হয় শাম মুর্তির পুজা করে ।অশম্ভুতি হল – প্রাকৃতিক বস্তু যেমন-বাতাস,পানি,আগুন ।শাম মুর্তি হল – মানুষের তৈরী বস্তু যেমন -চেয়ার ,টেবিল ,মূর্তি।

  • ঋগবেদ – বই ১ – অধ্যায় ১৬৪ ভলিউম ৪৬ –ন তস্য প্রতিমা আস্তি – স্রস্টার কোন প্রতিমা নেই

  • ঋগবেদ – বই ৮ – অধ্যায় ১ ভলিউম ১ – মা চিদান্যদভি শাংসত – ও বন্ধু , স্রস্টার সাথে কাউকে ডাকিওনা।

  • হিন্দু বেদান্ত’র ব্রক্ষসূএ -ব্রক্ষ সূএ কে হিন্দু ধর্মে বেদান্ত বা মুল বিশ্বাস বলা হয়, ব্রক্ষ সূএ হচ্ছে – একাম ব্রক্ষ , দ্বিতীয় নাস্তি নেহ না নাস্তি কিঙ্কন -সৃস্টিকর্তা মাএ একজনই ,দ্বিতীয় কেউ নেই  , নেই  , নেই  ,কিছুই নেই ।

মোহাম্মদ সাঃ এর কথা হিন্দু ধর্মে

ভবিষৎ পুরানে ৩য় পর্ব ৩য় খন্ড ১০-২৭ অনুচ্ছেদ

  • ম্লেচ্ছদের বসবাসের স্হান নষ্ট হয়ে গেছে ।এখানে যে শত্রুরা রাজত্ব করত,সেখানে এসেছে আর শক্তিশালী শত্রু।আমি এমন একজনকে পাঠাব যার নাম হবে কল্কি অবতার ,মানুষকে পরিচালিত করবেন সরল পথে,হে রাজাভোজ তুমি পিশাচদের রাজ্য কখনই যাবে না।কারন আমি আমার দয়া দিয়ে তোমাকে পবিএ করব ।তারপর দেবতুল্য একজন মানুষ ভোজ রাজার কাছে আসল তারপর বলল যে ,আর্য ধর্ম এ পৃথিবী তে প্রতিস্ঠিত হবে।এটা হবে ঈশ্বর  পরমাত্নার আদেশে।আমার অনুসারীদের খাৎনা দেওয়া হবে , তাদের মাথার পিছনে কোন টিকি থাকবে না।তারা মুখে দাড়ি রাখবে।তারা একটা বিপ্লব করবে ।তারা প্রার্থনার জন্য আহবান করবে।তারা সব ভাল খাবার খাবে।

  • আমরা জানি মুসলমানরা খাৎনা করে।তারা একটা বিপ্লব করবে যা মোহাম্মদ সাঃ করেছেন।তারা প্রার্থনার জন্য আহবান করবে অর্থাৎ আযানের কথা বলা হয়েছে।তারা সবাই ভাল খাবার খাবে আমরা জানি মুসলমানরা হালাল খাবার খায়।কিছু মানুষ বলতে পারে এইখানে ভোজ রাজার কথা বলা হয়েছে।তিনি ছিলেন এগার শতাব্দিতে ,মোহাম্মদ সাঃ এর জন্মেরও  ৫০০ বছর পরে।আর ভোজ রাজা ছিলেন রাজা শিলাবাহনের ১০ম বংশধর।এই লোক গুলো বুঝতে পারে না –  রাজাদের টাইটেল দেওয়া হত ভোজরাজ।অতীতে অনেক ফারাও চিল।একজন ছিল না।রোমের রাজাদের পদবি ছিল সিজার।সিজার একজন ছিলেন না।ইন্ডিয়ান রাজাদের টাইটেল ছিল ভোজ তাহলে ভোজ একজন রাজা ছিল না যুগে যুগে অনেক রাজা ছিল।

অথর্ববেদ ২০ নং গ্রন্হের ১২৭ নং অনুচ্ছেদ –

১ম মন্ত্রে বলা হয়েছে – তিনি হলেন নরশাংসা ।তিনি কাওরাসা,যাকে রক্ষা করা হবে ৬০ হাজার ৯০ জন শএুর কবল থেকে।

  • সংস্কৃতে ” নর ” এর অর্থ একজন মানুষ , মানে শাংসা মানে প্রশংসা বা প্রশংসীয়। আর আরবিতে মোহাম্মদ সাঃ এর নাম এর মানে একই।কাওরাসাআরেক অর্থ শান্তির রাজপুএ ।মোহাম্মদ সাঃ ছিলেন শান্তির রাজপুএ ।এর আরেকটা মানে অভিবাসী।আমরা জানি মোহাম্মদ সাঃ মক্কা থেকে মদিনায় হিজরত করেছিলেন।তিনি অভিবাসী ছিলেন ।আমরা জানি সেইসময় মক্কায় মোহাম্মদ সাঃ এর শত্রু সংখা ছিল প্রায় ৬০হাজার।

২য় মন্ত্রে বলা হয়েছে – তিনি হলেন উটে চড়া ঋষি।

  • মোহাম্মদ সাঃ উটে চড়তেন।

৩য় মন্ত্রে বলা হয়েছে – তিনি হলে মহাঋষি।

  • কেউ বলে মোহাম্মদ কেউ বলে মহাঋষি

৪র্থ  মন্ত্রে বলা হয়েছে – তিনি হলে বৈশবী বের।

  • তিনি হলেন ” বের “।বের মানে যিনি প্রশংসা করে । মোহাম্মদ সাঃ এর আরেন নাম আহমেদ যার অর্থ যিনি প্রশংসা করে ।

source —  irf.net

under construction

প্রশ্ন ও উত্তর

১।অনেক NON Muslim ধনী,তারা যদি ভুল পথে থাকে তাহলে তাদের আল্লাহ কেন ধনী করল? — mail

উঃ – সুরা বাকারা ১২৫ নং আয়াত আল্লহ বলছেন – যারা আল্লাহ কে মানবে না আল্লাহ তাদের কেও দেবে।

কারন সব মানুষ আল্লাহর বান্দা ,এবং আল্লাহ তাদের কে দুনিয়াতে দেবেন তারা পরকালে হবে শুন্য।

২ । আমরা হিন্দুরা পুর্ন জন্মে বিশ্বাসী।ভাল ভাল কাজ করলে আবার মানুষ হয়ে জন্মাব (ধনী হয়ে) আর খারাপ খারাপ কাজ করলে পশু পাখি বা উদ্ভিদ হয়ে জন্মাব — mail

উঃ – আপনাকে প্রশ্ন করছি পুর্ন জন্ম যদি হয় তাহলে পৃথিবীর লোকসংখ্যা কি বাড়ছে না কমছে?যদি ভাল কাজ করেন মানুষ হয়ে জন্মাবেন আর খারাপ কাজ করলে পশু পাখি হয়ে জন্মাবেন তাহলে স্বর্গ বা নরক কোথায় গেল?বেদ পুরান তো স্বর্গ বা নরকের কথা বলছে।সব লোকের শাস্তি যদি দুনিয়াতে হয়ে যায় তাহলে নরকে কে যাবে?মানুষ হয়ে যদি আবার জন্মান তাহলে সে কোন ধর্মের মানুষের ঘরে জন্মাবে?

৩।আপনাদের মোহাম্মদ সাঃ সব ধর্ম থেকে চুরি করে কোরআন লিখেছেন। — mail

উঃ – আপনি যদি ইতিহাস পড়েন তাহলে দেখবেন মোহাম্মদ সাঃ ছিলেন মূর্খ,মানে তিনি পড়তে বা লিখতে পারতেন না।

৪।জীবে প্রেম আগে নাকি নামাজ বা আল্লাহ প্রেম আগে? — mail

এক হিন্দু ভাই ও এক মুসলিম ভাইয়ের মধ্য আলাপ।

হিন্দু ভাই – ভাই শুধু জীবে প্রেম করলে কি জান্নাতে যাওয়া যাবে?

মুসলিম ভাই – না ভাই নামাজ সহ ইসলামের অন্যান বিধি বিধান গুলো মেনে চলতে হবে।

হিন্দু ভাই – ইসলামে কি আল্লাহ প্রেম আগে নাকি জীব প্রেম আগে।

মুসলিম ভাই – ইসলামে আল্লাহ প্রেম আগে।

হিন্দু ভাই – মনে করেন আপনি মাগরিবের নামাযের সময় নামাযে যাচ্ছেন ,এমন সময় দেখতে পেলেন এক ফকির লোক খুব কষ্টে ভুগছে মসজিদের পাশে । এখন আপনি নামায পড়বেন নাকি ঐ ফকির অসুস্হ লোককে হসপিটালে নিয়ে যাবেন?

মুসলিম ভাই – অবশ্যই আমি ঐ ফকির লোককে নিয়ে হসপিটালে যাব, নামাজ একটু পরে পড়ে নিব।

হিন্দু ভাই – তাহলে ভাই জীব প্রেম তো আগে হয়ে গেল নাকি?

মুসলিম ভাইআপনাকে যদি আপনার বাবা এক সঙ্গে ২টা কাজ দেয় বা আদেশ করে তাহলে আপনি কি করবেন?

হিন্দু ভাইআমি একটা একটা করে ২টা কাজই করব।

মুসলিম ভাই – কোনটা আগে করবেন?

হিন্দু ভাই যে কাজটা বেশী দরকারি সেই কাজটা আমি আগে করব।

মুসলিম ভাই -আপনি যে কাজটায় আগে করেন না কেন তাতে করে কি আপনার বাবার প্রতি আপনার ভালবাসা কম হবে?

হিন্দু ভাই – না ভাই।

মুসলিম ভাই – আমি ও এই একই কাজ করব । ভাই আপনি যে অর্থে বলছেন সেই অর্থে প্রথমে নিজের জীবন বাঁচান ফরয।কাজের বা রিজিকের খোজ করা ফরয।ক্ষিধে লাগলে আগে তা নিবারন করা ফরয – নামাজ একটু পরে পড়ে নিলে চলবে।আর নামাজ ও ফরয।নামাজের মধ্য আপনার সামনে আপনি একটা সাপ দেখতে পেলেন তাহলে কি করবেন?নামায ছেঁড়ে আগে সাপ তারিয়ে নিতে হবে ।আর আল্লাহ কে ভালবাসি বলে ঐ ফকির লোককে নিয়ে হসপিটালে যাব, কারন এইটাও আল্লাহর খুশির জন্য আমি করব ।এইটাও আল্লাহ ও তার রাসুলের আদেশের মধ্য।ইসলামে অনেক ক্ষেএে ছাড় আছে এবং কারন থাকলে আপনাকে মাফ করে দেওয়া হবে।একটা আগে আরেকটা একটু পরে করলে সমস্যা নেই।এতে করে জীব প্রেম আগে আর আল্লাহ প্রেম পরে হবে না।সর্ব অবস্হায় আল্লাহ প্রেম আগে থাকবে।


(মুসলিম ভাই যদি বলত না আমি আগে নামাজ পড়ব তাহলে হিন্দু ভাই বলত ইসলাম ধর্ম ভাল না বা যদি ঐ ফকির না হয়ে আপনার মা হতেন তাহলে আপনি কি করতেন?)

বই সুমহ

১। বেদ ও পুরানে আল্লাহ এবং মোহাম্মদ (সাঃ)

  • Bedh Purane Allah and his Rasul SAW

(নিস্চয় ভাল কাজ মোমিন মানুষের লক্ষন।এইগুলো মানুষের কাছে পৌছে দিয়ে কিছু সওয়াবের অধিকারি হন।দয়া করে পেজটি শেয়ার করতে ভুলবেন না ভাই ও বোনেরা ধন্যবাদ )

এখানে আপনার মন্তব্য রেখে যান