শীয়া


If U Have Problem With Bangla Download This Software

শীয়া / Shia

 

You Will Success If you Use Brain.exe – You Will Fail If You Use Cheat or Trainer

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম

আসসালামু অলাইকুম

পরিচিতি

খোলাফায়ে রাশেদার পর মাবিয়া রাঃ হাতে যখন শাসন ভার গেল তখনই প্রাচীন আরবীয় গোএীয় চিন্তা যেন আবার মাথা চাড়া দিয়ে উঠল ।খান্দানি চিন্তা ,বংশীয় পরিচিতি তাকওয়ার স্হলে জেকে বসল।কোন গোএ কিভাবে কতটুকু ইসলামের সেবায় অবদান রেখেছে এবং তার বিনিময় কে কতটুকু প্রতিদান পেয়েছে সেই খতিয়ান মনের মধ্য তোলপাড় শুরু করল। আলি রাঃ পুত্র হাসান রাঃ কে খেলাফতের দায়িত্ব দেওয়া হল।কিন্তু সিরিয়ার গভর্নর আমির মাবিয়ার সাথে রাজনৈতিক দ্বন্দ্বে আর লিপ্ত হতে চাইলেন না ।হাসান রাঃ শান্তির লক্ষে মুসলিম উম্মাহর ঐক্যর স্বার্থে মাবিয়া রাঃ সাথে একটি শান্তিচুক্তি করে খিলাফতের দায়িত্ব মাবিয়া রাঃ অনুকুলে ত্যাগ করে।শাসক হিসাবে মাবিয়া রাঃ এর কৃতিত্ব সকল ঐতিহাসিক সমানভাবে প্রশংসা করেছেন।তিনি আরবদের সেরা রাজা তাও বলা হয়েছে।তার সময়ে মুসলিম জাহানের সীমানা বর্ধিত হয়েছে।ইউরোপে মুসলিম বাহিনী অবতরন করে কনষ্টান্টিনোপলে আঘাত হেনেছেন।লোহিত সাগর ও ভুমধ্যসাগরে মুসলিম প্রাধন্য বিস্তার ঘটেছে।প্রশাসনে অনেক সংস্কার হয়েছে।মাবিয়া রাঃ ছিলেন ওহী লেখক ।মাবিয়া রাঃ মৃত্যুর পূর্বেই ঘোষিত হল পরবর্তী খলিফা মনোনয়ন।তার নিজ পুত্র ইয়াজিদ কে ক্ষমতায় বসান হলো।নিসন্দেহ ইয়াজিদ সাহসী যোদ্ধা ও কবি কিন্তু তার চারিএিক কিছু দোষ ছিল।কুফার কারবালা প্রান্তরে যে হৃদয় বিদারক,বর্বর নিষ্ঠুর হত্যাকাণ্ডের মাধ্যমে রাসুল সাঃ দোহিএ ফাতিমা রাঃ ইমাম হোসাইন রাঃ মারা যান।এবং এ বেদনায় সেদিনের লোকজন যেরকম দুঃখ ও বেদনা অনুভব করেছিল,আজও সকল মুসলিম তেমন দুঃখ ও বেদনা অনুভব করে।কিন্তু এই বেদনাকে পুজি করে কেও যদি কিছু হাসিল করতে চায় তবে সেখানেই গোল বাদে।একজন ব্যক্তি যদি সকলের শ্রদ্ধেয় হন তবে ব্যক্তি বিশেষ সেই ব্যক্তিকে নিয়ে অতিরন্জিত বা অতিমানবীয় গুন আরোপ করে তাকে অনেক অনেক উঁচুতে তুলে ধরতে চাইলে সাধারন মানুষের নিকট তা দৃষ্টিকটু হয়।বনি ঊমাইয়াদের রাজত্বকালে কিছু লোকের আর্বিভাব ঘটল যারা আলী ,ফাতিমা এবং হোসাইন দরদী রুপে ।তারা কখনও আলী রাঃ বংশীয় ,কখনও ফাতিমা রাঃ বংশীয়, আবার কখনও হোসাইন রাঃ নামে।এরা শিয়া নামে একটা স্বতন্ত্র দল গঠন করে।

ইয়াজিদ কি আসলে হোসাইন রাঃ এর মৃত্যুর জন্য দায়ী?

Click Here

বিশ্বাস –

তারা ১২জন ইমাম কে বিশ্বাস করে।১ম ইমাম আলী রাঃ ২য় ইমাম আলী রাঃ এর পুএ হাসান।৩য় ইমাম হুসাইন রাঃ ।৪র্থ ইমাম আবেদিন ।৫ম ইমাম আল বাকের ।৬ষ্ঠ ইমাম জাফর আস সাদিক। এরপর শীয়াগন দ্বিধাবিভক্ত হয়ে যায়।এক দল জাফর আস সাদিকের পুএ ইসমাইল যিনি তার পিতার জীবিত কালে মারা যান তাকে ৭ম ইমাম মনে করেন ।আরেকদল বিশ্বাস করেন জাফর আস সাদিকের অপর পুএ মুসা আল কাজিম ৭ম ইমাম।৮ম ইমাম আলী আর রিজা।৯ম ইমাম আততাকি।১০ম আলী মান নকী।১১শ ইমাম হাসান আল আসকারী।আর ১২শ ইমাম মুহাম্মদ আল মুন্তাযির।তাকে মাক্তুমও বলা হয়।এই দ্বাদশ ইমাম সামাররা মসজিদে সালাতরতো অবস্হায় অদৃশ্য হয়ে যান বলে শীয়াদের বিস্বাস।তিনি গুপ্ত বা অদৃশ্যে আছেন প্রকৃত সময়ে আবির্ভুত হয়ে মাহদি রুপে সকলের নেতৃত্ব দান করবেন।এই দলই দ্বাদশপন্হী ইছনা আসারীয়া।এরাই এখন ইরানে ক্ষমতাসীন।শীয়াদের ৩২টি উপদল আচে।এদের মধ্য সর্বাপেক্ষা উগ্রদল হল কারমাতীয় ও দারাযী উপদল।এরা শীয়া ছাড়া অন্য কাউকে মুসলমান মনে করে না।কেউ কেউ বিশ্বাস করেন আলী রাঃ এর কাছেও ওহী প্রেরন হয়েছে।কেউ কেউ জিবরাঈল আঃ কে অভিশাপ দেয়।

  • ৫জন বাদে সকল লোক কাফের হয়ে গেছে এবং সাহাবী রাও কাফের হয়ে গেছে ।অনেক শীয়ারা আছে যারা নিজেরাই হাদীস লিখত।অনেক শীয়ারা নিজেদের মনগড়া কথা বলে হাদীস লিখত।

  • তাদের নিকট ফাতিমা রাঃ এবং আলী বংশীয় সদস্যরা বর্ণিত হাদীস ব্যাতীত আর কিছুই গ্রহনযোগ্য নয়। তাদের নিকট পৃথক কোরআন আছে নাকি।তাদের নিকট ফাতিমা রাঃ ও আলী রাঃ সব থেকে বড়।

  • অনেক হাদীস বা ফতোয়া তাদের এমন ,যেখানে রাসুল সাঃ থেকে আলী রাঃ বড় নাউজুবিল্লাহ।আর এমন কিছু কথা যা সরাসরি শিরিক।

  • ফেরেস্তা ,নবী বা রাসুল সাঃ দের প্রদও সব জ্ঞান ইমামদের জানা আছেন।

  • ইমামগন জানেন ,তারা কখন মৃত্যুবরন করবেন এবং তারা আপন আপন ইচ্ছামতই মারা যাবেন।

  • ইমামগন অতীত ভবিষৎ সব জ্ঞান রাখেন এবং তাদের কাছে কিছুই গোপন নেই।

  • ইমামগনের নিকট সমুদয় কিতাব আছে এবং সকল ভাষাই তারা জ্ঞান রাখেন।

  • শীয়াদের বিশিষ্ট জীবনীকার আল খুনসারী তার রওজাতুল জান্নাত নামক কিতাবে উল্লেখ করেছেন যে ৭৩ দলের মধ্য আল্লাহর কাছে পরিএান প্রাপ্ত দল হোল শীয়া।

  • আনুগত্যর ব্যাপারে ইমামদের প্রতি বিশ্বাস স্হাপন করা যিনি অদৃশ্য ইমাম আছেন তার প্রতিও বিশ্বাস করা।

  • শরীয়তের নতুন নতুন ব্যাখ্যা দান নিস্পাপ মুজতাহিদ ইমামগণই সক্ষম।

  • সকল ইমামগনই আল্লাহর সাথে বিশেষ সম্পর্কের অধিকারী।

  • সমস্ত পৃথিবী ইমামদের অধিকারে ন্যস্ত।

  • মানুষের হাতে কোন সত্য নেই ।সত্য কেবল ইমামগনের নিকট হতে বের হয়।

  • ইমামগন ক্ষমতায় এলে দাউডী শাসন জারী হবে।

  • কেবল মাএ ইমামগণই কোরআনের সঠিক সংকলন করেছেন এবং সঠিক জ্ঞান রাখেন।

  • যার অন্তরে আলী রাঃ এর ভালবাসা আছে সে জান্নাতে প্রবেশাধিকার পাবে যদিও সে ইহুদি ,নাসারা বা মুশরেক হক না কেন।

  • তাদের হাদীসে কুদসীতে আল্লাহ বলেছেন আমি আলীর ওলীদের কাউকে আযাব দিব না,যদিও তারা আমার অবাধ্য হয়।

  • আলীর সমপ্রদায় কে কিয়ামতের দিন ছোট বড় কোন গোনাহর জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে না বরং পাপগুলো পুণ্য দিয়ে বদলিয়ে দেওয়া হবে।

  • আরও অনেক কিছু………………।

বইসুমহ –

কোরআন একটু ভিন্ন,বুক অফ ফাতিমা,নাহজ আল বালাগাহ ,নাহজ আল ইসরার,দি ফোর বুক – আল কুতুব আল আরবহ

এই খানে দেখুন – List of Shia Books

এইটা শীয়াদের সম্পর্কে একটি বাংলা বই – বিস্তারিত জানতে এই বই টি Download করে নিন।

Faith of Shia bangla

Source – http://islaminonesite.wordpress.com/2011/07/31/faith-of-shia-bangla/

(নিস্চয় ভাল কাজ মোমিন মানুষের লক্ষন।এইগুলো মানুষের কাছে পৌছে দিয়ে কিছু সওয়াবের অধিকারি হন।দয়া করে পেজটি শেয়ার করতে ভুলবেন না ভাই ও বোনেরা ধন্যবাদ )

এখানে আপনার মন্তব্য রেখে যান